সুমনসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-

চট্টগ্রামের ব্যাবসায়ী মান্নান, স্টীলের মালিক রেজাউল করিম, কিশোর গ্যাং এর দলনেতা
সাগর সহ দশজন আসামির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক এডভোকেট জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপা।

দায়েরকৃত মামলায় বিবরণী কপি

জানা যায় বায়েজিদ থানার অন্তর্গত ধর্মপুর সোসাইটিতে বর্তমান ওয়ার্ড কমিশনার সাহেদ ইকবাল বাবুর কাছ থেকে ২০১৫ সালে কিছু জায়গা কিনেন এডভোকেট জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপা।পাশেই আছে জুবাঈদা ছরওয়ার নিপার স্বামী সরোয়ার আলমের জায়গা।যেখানে ২০০৭ সাল হতে সেমিপাকা ঘড় করে ভাড়া দিয়ে আসছেন তিনি।মামলার ভাস্য অনুযায়ী গত অক্টোবরের ২৩ তারিখ ভূমিদস্যু রেজাউল করিম সাহেব ফোনে জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপার স্বামী সরোয়ার আলমকে ফোন করে জানান ঐ এলাকায় যত জায়গা আছে সব তার পূর্বপুরুষদের।তাই ওখানে কেউ জায়গা কিনলে এবং ঘড় নির্মান করলে রেজাউল করিম সাহেবকে এবং তার নিয়ন্ত্রিত সাগর বাহিনীকে চাঁদা দিতে হবে।রেজাউল করিম সাহেবের প্রস্তাবে জুবাঈদা নিপা এবং তার স্বামী রাজি না হলে রেজাউল করিম সাহেবের নির্দেশে সাগর সহ অন্যান্য আসামীরা গত ২২/১২/২০ তারিখ এডভোকেট জুবাঈদা ছরওয়ার নিপার নির্মাণাধীন ঘড় ভাংচুর করে,কেয়ার টেকার ও নির্মান শ্রমিকদের মারধর করে,নির্মাণ কাজের জন্য রাখা প্রায়ই দুই লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং জুবাঈদা ছরওয়ার নিপার স্বামীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দিয়ে যায় যে চাঁদা না দিয়ে কাজ করলে এবার আর ঘড় ভাংচুর করবে না জুবাঈদা নিপার স্বামী সরোয়ার ও তার পরিবারের সকলকে নিঃশেষ করে দিবে।জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপার ভাস্যমতে রেজাউল করিম সাহেব দীর্ঘদিন ধরে অত্র এলাকায় অনেক অসহায় মানুষের জায়গা দখল করে রেখেছে।ওনার নির্দেশে সেখানে ইয়াবা ও জুয়া ব্যাবসা পরিচালনা করে তার নিয়োজিত কেয়ারটেকার অত্র মামলার আসামি দুলাল,মান্নান সহ আরো অনেকে।তিনি আরো বলেন উক্ত রেজাউল করিম সাহেব এবং তার নিয়ন্ত্রিত কিমোর গ্যাং লিডার সাগর যে কোন অপরাধ করার সময় সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান সালাম সাহেব এবং কমিশনার পদপ্রার্থী মোবারক সাহেবের নাম ব্যাবহার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেন।তিনি অনেক সাধারণ মানুষকে মামলা হামলা করে হয়রানি করে তাদের জাযগা দখল করে নিয়েছেন।টাকার জোড়ে এবং সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান সালাম সাহেবের নাম ভাঙ্গিয়ে তিনি এসব অপরাধ দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন বলে এডভোকেট জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপা জানান।অবশেষে তিনি বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর ও দায়রা জজ আদালত মহিউদ্দিন মুরাদ সাহেবের কোটে অত্র মামলা দায়ের করলে আদালত থানাকে এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।এই রিপোর্ট লেকা পর্যন্ত অত্র মামলার দুজন আসামি দুলাল ও শাকিল গ্রেপ্তার হয়।